শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

জোছনা

          -আগন্তুক



‘কে?
কে ডাকে?
রাত-দুপুরে আমার দরজায় কে টোকা মারে?’
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এলোমেলো চুলের ছেলেটা
আজকাল এভাবেই কথা বলে।
কেউ সাড়া দেয় না।
কল্পনায় অথবায় বাস্তবতায়।
জানালার ওপাশের সোনালি রোদ্দুর
আর নীল খামেদের জগত
দূর থেকেই বিদায় দেয় তাকে।
কাছে আসে না।
কী জানি!
কাছে আসলে যদি
বিষণ্নতার বাদলা হাওয়া
ভাসিয়ে নিয়ে যায় তাদের মুহূর্তগুলোকেও!

তাই গাংচিলের অবহেলায়
শালিকের ক্যানভাসটা রং হারাতে থাকে,
এক সময় রক্তের গাঢ়তা নষ্ট হয়ে যায়।
ফ্যাকাশে হয়ে যায় মেঘগুলো।
তবুও দু’চোখে সবুজ ছড়িয়ে
মেয়েটা দাঁড়িয়ে থাকে সাদা বাড়িটার ওপাশে।
এখানেই যে তাদের দেখা হবার কথা ছিল।
সেই জোছনাধারায় সিক্ত হয়ে ভালোবাসার কথা ছিল।
তাই খোঁপায় তাজা গোলাপের কষ্ট চেপে রেখে
অপেক্ষা করে যায় মেয়েটা।
কতো যুগ আগের সেই একটা কথার জন্য।
আঁধার ঘনিয়ে আসা গোধূলিতে
কেউ যে তাকে বলেছিল-
‘তুই দেখিস, আমি ঠিকই আসবো।
অপেক্ষা করিস; একটু দেরি হলে চলে যাস না যেন!’

তাই তো কাজল চোখের সবুজ
আজও অপেক্ষা করে যায়।
তার এক আকাশ নীলের জন্য।
শুধু তার নীলের জন্য।

চাঁদ আসে।
চাঁদ যায়।

শুধু সেই জোছনাটা আসে না।
হয়তো কোনোদিন আসবেও না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন